শ্রদ্ধেয় সুভাষ সিংহ রায়ের হাত ধরে ১৯৯২ এর ২৪ জুলাই "বিতর্ক-একটি তার্কিক সংগঠন" যাত্রা শুরু করে। নব্বই ও দু'হাজারের দশকে মেধাবী প্রাক্তনদের নেতৃত্বে বিতর্ক অঙ্গনে কৃতিত্বের ছাপ রেখেছে 'বিতর্ক'। বিতার্কিকদের বিটিভি বিতর্কের শিরোপা জয়সহ বহু অর্জন জগন্নাথ হলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সে ধারা অব্যাহত রাখতেই কাজ করে যাচ্ছে বর্তমানের কর্মীরা।
পরিষদ ও মেয়াদকাল | পদবি | নাম |
১ম কার্যনির্বাহী পরিষদ(১৯৯২-১৯৯৭) | সভাপতি | প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া |
সাধারণ সম্পাদক | রথীন্দ্র নাথ দত্ত | |
২য় কার্যনির্বাহী পরিষদ(১৯৯৭-৯৮) | সভাপতি | সঞ্জয় মজুমদার |
সাধারণ সম্পাদক | পিনাকী রায় | |
৩য় কার্যনির্বাহী পরিষদ(১৯৯৮-৯৯) | সভাপতি | সুব্রত সরকার পুরু |
সাধারণ সম্পাদক | সুমন চন্দ্র কর্মকার | |
৪র্থ কার্যনির্বাহী পরিষদ(১৯৯৯-২০০০) | সভাপতি | সুমন চন্দ্র কর্মকার |
সাধারণ সম্পাদক | অমিত দাশগুপ্ত | |
৫ম কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০০০-০৩) | সভাপতি | সুব্রত দাস খোকন |
সাধারণ সম্পাদক | অভ্র ভট্টাচার্য | |
৬ষ্ঠ কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০০৩-০৪) | সভাপতি | রাজীব সরকার |
সাধারণ সম্পাদক | অনিমেষ কর | |
৭ম কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০০৪-০৫) | সভাপতি | অনিমেষ কর |
সাধারণ সম্পাদক | স্বপন মজুমদার | |
৮ম কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০০৫-০৭) | সভাপতি | উত্তম কুমার রায় |
সাধারণ সম্পাদক | তাপস বন্ধু দাস | |
৯ম কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০০৭-০৯) | সভাপতি | তাপস বন্ধু দাস |
সাধারণ সম্পাদক | অমিতাভ কুমার কুন্ডু | |
১০ম কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০০৯-১১) | সভাপতি | মিঠুন চক্রবর্তী |
সাধারণ সম্পাদক | প্লাবন গঙ্গোপাধ্যায় | |
১১তম কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০১২-১৪) | সভাপতি | অঞ্জন সরকার |
সাধারণ সম্পাদক | কৌশিক সুর | |
১২তম কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০১৪-১৬) | সভাপতি | কৌশিক সুর |
সাধারণ সম্পাদক | সৌরভ অধিকারী | |
১৩তম কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০১৬-২২) | সভাপতি | মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার |
সাধারণ সম্পাদক | কাঞ্জিলাল রায় জীবন | |
১৪তম কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০২২-২৩) | সভাপতি | রাজিব দাস |
সাধারণ সম্পাদক | জীবেশ কুন্ডু |
বিতর্কের নতুন কান্ডারীদের হাত ধরে জগন্নাথ হল বেশ কয়েকটি উৎসব-আয়োজনের সাক্ষী হয়েছে। এর মধ্যে ২য় শারদ বিতর্ক উৎসব ২০২০, ৩য় দিবাকর সান্যাল সুদীপ অন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৯ উল্লেখযোগ্য। বিশেষভাবে উল্লেখ করতেই হয়,বিতর্কের দক্ষ নেতৃত্বের হাত ধরে কোভিড-১৯ অতিমারীকালে অনলাইনে সংগঠনের কার্যক্রম পূর্ণগতিতে চলেছে। সেসময়ে ডিইউডিএস নবাগত বিতর্কে সাফল্য ও জগন্নাথ-সুফিয়া কামাল বিতর্ক সিরিজের কথা না বললেই নয়।
"যুক্তিযুদ্ধে সব্যসাচী, চেতনায় অনির্বাণ" এই মূলমন্ত্রকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিতর্ক - একটি তার্কিক সংগঠন কাজ করে চলেছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং আদর্শ নাগরিক তৈরীর জন্য।যুক্তির আলোয় দূর করতে চেয়েছে অসাম্যের অন্ধকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলের বৈচিত্র্যতা, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী, আদিবাসী আবাসিক ছাত্রদের মধ্যকার ভালোবাসা, আন্তরিকতা এবং সৌহার্দ্য আমাদের সাহস দিয়েছে,ভরসা যুগিয়েছে তিনদশক।অসাম্প্রদায়িকতা এবং সৌহার্দ্যের যে তৃপ্ত অনুভূতি আমরা পাই, তা আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে দিতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুক্তির আলোয়,বিতর্কের মঞ্চে আমরা লড়াই করতে চাই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, উগ্রতার বিরুদ্ধে।
তাই "সৌহার্দ্যের বটবৃক্ষ বিকশিত হোক যুক্তির পরিচর্যায়" স্লোগানকে সামনে রেখে বিতর্ক একটি তার্কিক সংগঠন ১০,১১ এবং ১২ মার্চ ২০২৩ আয়োজন করে সৌহার্দ্য বিতর্ক উৎসব ২০২৩।
বিতার্কিক অনুসন্ধান ২০২২ থেকে নির্বাচিত নবীন বিতার্কিক ও নিয়মিত বিতার্কিকদের সমন্বয়ে ৬ টি দল গঠন করা হয় '৫ম দিবাকর স্যানাল সুদীপ স্মারক অন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা'য়।দল গুলো ছিলো উত্তর,দক্ষিণ, পূর্ব,পশ্চিম,ঈশান ও নৈঋত।রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে ৫ রাউন্ড শেষে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় উত্তর ও ঈশান ।
'এই সংসদ মনে করে, আগামীর সংকট পরিবেশের নয়, ক্ষুধার।' এই প্রস্তাবনায় ফাইনাল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।ফাইনাল বিতর্কে জয়লাভ করে ঈষান।ডিবেটর অব দ্যা টুর্নামেন্ট হন অর্নব রায় পার্থ এবং ডিবেটর অব দ্যা ফাইনাল হন বিশ্বময় শর্মা প্রমিত।
"সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যুক্তি হোক অগ্নিবাণ, কন্ঠ হোক অমোঘ"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলের বিতর্ক সংগঠন 'বিতর্ক-একটি তার্কিক সংগঠন' এর ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা আয়োজন করতে চলেছি 'আন্তঃহল সম্প্রীতি বারোয়ারী বিতর্ক প্রতিযোগিতা '।আমরা বিশ্বাস করি যুক্তির আলোতেই কেটে যেতে পারে, সাম্প্রদায়িকতার জমাট অন্ধকার।